হজ্জের পুরো সফরে যদি সময়ানুবর্তিতা মেনে চলা যায়, তাহলে সুন্দর ইবাদত মুখর হজ্জ পাওয়া সহজ হয়। নিচে একটি সাধারণ গাইডলাইন দেয়া হলো। ব্যক্তি বিশেষে এ রুটিন পরিবর্তনযোগ্য।
১. তাহাজ্জুদ এর জন্য ঘুম থেকে উঠে মসজিদ এ যাওয়াঃ রাত ২টা,
২. তাহাজ্জুদ শেষে ফজরের নামাজ আদায় করে একটা তাওয়াফ করে হোটেল রুম এ ফিরে আসা,
৩. হোটেল পৌছে নাস্তা খেয়ে ঘুমানো,
৪. ঘুম থেকে উঠে যোহরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া দুপুর ১২.৩০,
৫. এরপর হোটেল রুম এ ফিরে লাঞ্চ করা,
৬. সামান্য বিশ্রাম নিয়ে আসরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া ৩.৩০ ( মক্বা-মদীনায় আসরের জামাত তাড়াতাড়ি হয়),
৭. এরপর কেউ চাইলে হোটেলে ফিরে ঘুমাতে পারেন। কেউ চাইলে তাওয়াফ করে মাগরীব, এশা পড়ে একেবারে রাতে হোটেল এ পৌঁছে ডিনার করে ঘুমিয়ে যেতে পারেন।
দেশ থেকে অনেকেই হাজিদের যখন-তখন কল দেন। উপরের সময়সুচী জেনে রাখা ভাল তাই। হাজিরা বেশীর ভাগই ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘুমান, সেই সময় তাদের কল না করাই ভাল।
আর হজ্জের ৫ দিন। মিনা-আরাফাত-মুজদালিফায় থাকার সময় মোবাইলে চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই হাজীরা খুব প্রয়োজন না হলে দেশে কল করে মোবাইলের চার্জ শেষ করে ফেলবেন না।
হজ্জের সময় হাজীদের সময়সুচী
রেবেকা জামান বিভা
জুলাই ২৮, ২০১৯ইং