ডাঃ উম্মে বুশরা সুমনা
“এ প্লাস পেয়েছি, দুই আঙুলে ভি চিহ্ন দেখিয়ে দল বেঁধে সাফল্য উদযাপন করেছি, সেলফি তুলেছি। কাল পত্রিকায় আমাদের ছবি আসবে। আমি পেরেছি, আমার এতদিনের কষ্টের ফল আমি পেয়েছি। এটা আমার জীবনের এক মহা সাফল্য।”
“এ প্লাস পাই নি, আমার সামনে আমার বন্ধুরা ভি সাইন দেখিয়ে সেলফি তুলেছে, হৈ হুল্লোড় করে সাফল্য উদযাপন করেছে। এমনকি আমাদের ড্রাইভারের ছেলেটাও এ প্লাস পেয়েছে। পাশের বাসার আন্টি পাড়ার সবার এ প্লাস পাওয়ার গল্প বলে গেছে। সাথে ‘আমি যে গবেট’ এটা বুঝিয়ে দিয়ে মা কে অপমান করেছে। ষোল বছরের জীবনে আজ বাবা আমাকে প্রথমবার মেরেছে। মাও অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছে। আমি ব্যর্থ, এ জীবন রেখে আর লাভ নেই।”
……………………..
আজ যারা এ প্লাস পেয়েছে তারাই যেন চূড়ান্ত সাফল্য পেয়ে গেছে। আর যারা মিস করেছে, তারা যেন ব্যর্থতার গ্লানিতে ডুবে গেছে।
অথচ আল্লাহ্র কাছে কারা সফল তা আমরা জানি না আর হবার চেষ্টাও করি না।
প্রতিটি মানুষই মরণশীল, মৃত্যুর পরেও একটি অনন্তকালের জীবন আছে। মৃত্যুর পরেই মানুষের চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। হিসাব করা হবে মানুষ সফল না ব্যর্থ।
দুনিয়ার জীবনে বহু সফলতা অর্জনকারীও সেদিন ব্যর্থ হবে কারণ দুনিয়ার সফলতাই চূড়ান্ত সফলতা নয়।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা বলেন, ‘সেদিন যে ব্যক্তি শাস্তি থেকে রেহাই পাবে, আল্লাহ্ তার ওপর বড়ই অনুগ্রহ করবেন, আর এটাই হলো সুস্পষ্ট সাফল্য।’ (সূরা আন’আম : ১৬)
যারা এ প্লাস পাওনি বা পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল পাওনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
এসো , আমরা সবাই আসল পরীক্ষায় সফল হবার চেষ্টা করি।
————————–