আমরা মেয়েরা খুব বোকা। নিজেকে ভালবাসতে জানিনা, নিজের জন্য বাঁচতে জানিনা। অধিকাংশ মেয়েরা পরের জন্য সাজে, পরের জন্য রাঁধে, পরের জন্য বাঁচে।
প্রায়ই দেখবেন মায়েদের আফসোস করতে, আমি তোর জন্য এত কষ্ট করলাম, তুই আমার কথা শুনিস না? অথবা স্ত্রীদের আফসোস, ওর জন্য জীবনটা কালি করলাম,তাও মন পেলাম না!
মানুষ শব্দটা আরবি তে বলা হয় ইনসান। ইনসান অর্থ যে ভুলে যায়। মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ প্রাণী। সে সব ভুলে যায়। নিজের স্রষ্টা কে পর্যন্ত। আপনি আমি কোন ছাড় বলুন?
আজকে থেকে প্রতিটা কাজ, প্রতিটা কষ্ট নিজের জন্য করলে কেমন হয়?
নিজের জন্য কিভাবে? নিজের জন্য একটা প্রাসাদ বানাব আমরা। সোনার ইটের প্রাসাদ। প্রাসাদের সামনে টলমলে স্বচ্ছ একটা হ্রদ। একটু সামনে পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা নেমেছে। চারদিকে সবুজ আর সবুজ।
কাছেই কোথাও পাখি ডাকছে। ঝর্ণার পাশের বড় পাথরে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন আপনি। একটু দূরেই ছোট ছোট বাচ্চারা খেলছে নিজের মনে। ওদের খিলখিল হাসিতে বুক ভরে যায়।
ইচ্ছা হল পানির নিচে ডুব দিয়ে একটু মাছদের সাথে খেলে আসলেন, ইচ্ছা হল ডানা মেলে একটু আকাশে বেড়িয়ে এলেন। চমকে গেলেন তো? জি হ্যা, এখানে এটা সম্ভব। কারণ এটা জান্নাত।
আজকে থেকে এই জান্নাতের ঘরটার জন্য বাঁচব আমরা।
বাচ্চাটা খুব বিরক্ত করছে? এই ঘরটার কথা ভেবে ধৈর্য ধরব। অমুকের কুকীর্তির কথা তমুক কে বলতে মুখ চুলবুল করছে, এই ঘর হারাবার ভয়ে চুপ থাকব।
প্রতিটা দুঃখ, প্রতিটা কষ্ট, প্রতিটা ধৈর্য, প্রতিটা অশান্তির বিনিময়ে আমরা আমাদের রবের কাছে এই ঘর টা চাইব। আমাদের রব কিছুই ভোলেন না।
তিনি প্রতিটা কাজের পূর্ণ প্রতিদান দিবেন। কেউ ঠকবেনা। আমরা যখন আমাদের রব কে সন্তুষ্ট করতে জান্নাতের আশায় কষ্ট করব, তখন মানুষ কি প্রতিদান দিল, কি বলল, এসব কিছু আসবে যাবেনা। কেউ যদি আমাদের কষ্ট বুঝে কৃতজ্ঞ হয়, তাও ভাল লাগবে। আর অকৃতজ্ঞ হলেও কিছু আসবে যাবেনা।কারন আমরা মনে রাখব যে আমাদের রব এর প্রতিদান পূর্ণ গুনে দিবেন।
………………..
নিজের জন্য বাঁচা
নূরুন আলা নূর
১৮ অক্টোবর ২০১৮