১০.
প্রচন্ড ঠান্ডায় মাথাটা যেন জমে যাচ্ছে সাদিকের। একটু একটু করে চোখ খুলে তাকাতেই তাকে ঘিরে থাকা অনেক গুলো মুখ দেখলো সে। আধো অন্ধকারে সব গুলো মুখই অপরিচিত ঠেকছে। অবাক হয়ে গেল সে, বার বার মনে করার চেষ্টা করলো কি হয়েছিল। হঠাৎ একটা বাচ্চা ছেলের চিৎকার শুনতে পেল, “জ্ঞান ফিরেছে! জ্ঞান ফিরেছে!” সাথে সাথে তার চারপাশের জটলা আরো বেড়ে গেলো। বেশির ভাগই ছোট বাচ্চা। দেখে হাফ ছেড়ে বাঁচলো সাদিক, ভয়ের কিছু হয়নি তাহলে।
দুইজন মিলে ধরাধরি করে সাদিককে উঠালো। একজন মাথার উপর ঠান্ডা কি যেন ধরে রেখেছিল, বসার পর দেখলো ললি আইসক্রিম। একটা ছেলে কাঁদো কাঁদো হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলো, “এখনও কি ব্যাথা আছে, ভাইয়া?”
“না, তেমন একটা নাই। ঠিক কি ঘটেছিল বলো তো?”
সবাই মিলে কিচিরমিচির করে মোটামুটি যা বুঝালো তা হলো- বাচ্চারা সবাই মিলে ক্রিকেট খেলছিল মাঠে, একজন খুব জোরে ব্যাট দিয়ে বল পিটায় আর সেই বল গিয়ে লাগে সাদিকের মাথায়। সাথে সাথে সাদিককে পড়ে যেতে দেখে সবাই। বড়রা এসে মাথায় ঠান্ডা কিছু দিতে বললে কাছের দোকান থেকে ললিটা কিনে এনে ব্যথার জায়গায় (আসলে অনেক দূরে) দিয়ে রাখে। বাচ্চারা সবাই বার বার সাদিককে সরি বলে। সব শুনে সাদিক হেসে তাদেরকে বলে ‘ইটস ওকে’, তারপর তাদের সবাইকে যার যার বাড়িতে যেতে বলে। নিজেও দ্রুত পা চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়, মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হতে যে দেরি নেই!
১১.
রাত বাজে আড়াইটা।
সাদিক রুমের ভিতর পায়চারি করছে। মাথা ব্যাথার কারণে বেশ আগে ভাগেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তাই ফজরের অনেক আগেই জেগে গেছে। এখন হাঁটছে আর ভাবছে সেই শেষ রহস্যটার কথা। ভাবতে ভাবতেই আনমনে মাথায় হাত চলে গেল, বল লাগা জায়গাটা এখনো ফুলে আছে।
হঠাৎ সাদিকের মাথায় কি যেন খেলে গেল। “আরেহ, তাইতো!” -চিৎকার করে উঠলো সে। পাজলের শেষ পিসটা মনে হয় পেয়েই গেছে এবার! দ্রুত রুমের লাইট জ্বালিয়ে নোটবুকটা খুলে বিছানায় বসলো। ওর ভিতরেই খুঁজে রাখা পেন্সিল দিয়ে ঘচাঘচ কিছু হিসাব করলো। মিলে গেছে! হিসাব মিলে গেছে! অভিকর্ষ বল আবিষ্কার করতে বিজ্ঞানী নিউটনের দরকার হয়েছিল একটা আপেলের, আর খুনের রহস্য উদ্ধার করতে তার দরকার হলো একটা বলের আঘাত!
“আলহামদুলিল্লাহ।” বলেই সাথে সাথে মাটিতে সিজদাহ দিলো সাদিক।
১২.
ইন্সপেক্টর আজাদ বেশ টেনশানে আছেন আজ। তার ভাই সাদিক আজ বলে সবার সামনে সব রহস্য উন্মোচন করবে। সবার সামনে বলার আইডিয়াটা অবশ্য তার ভাই এর না, তার নিজেরই। শুধু সাদিক না, আজাদ সাহেব নিজেও ছোটবেলায় গোয়েন্দা গল্পের পোকা ছিলেন। তাই তার ধারণা, এভাবে সবার সামনে পর্দা উন্মোচন না করলে রহস্য সমাধান করা একরকম বৃথা!
সবাই বলতে থানার ওসি স্যার সহ আরও কয়েকজন পুলিশ অফিসার। তবে রুমের বাইরে দারোগা সহ অনেকের সন্দেহজনক ঘুরাঘুরি দেখে মনে হচ্ছে সময়মত দর্শক বনে যাবে এই তাল করছে তারা!
আরো ডাকা হয়েছে সজীবকে। সাদিকই বলেছে তার উপস্থিতি যাতে নিশ্চিত করা হয়। দুজন পুলিশ দিয়ে তাই তাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সে জ্বর, কাশি সহ আরো নানান অজুহাত দিয়ে আসতে আপত্তি জানিয়েছিল।
দুপুরের খাবার বিরতিতে সবাইকে আসতে বলা হয়েছে। সবার প্রথমে আসলো স্বয়ং গোয়েন্দা! আজাদ সাহেব তাকে বসতে দিলেন চেয়ারে। নিজের মত ভাইকেও তার বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে।
আসলেই চিন্তিত সাদিক। খুনের ব্যাপারের পরেও জালিয়াতির ব্যাপারটা রয়ে যায়। এত টাকা উদ্ধার করতে না পারলে তার খারাপ লাগবে খুব। একটা ধারণা অবশ্য সে করেছে, কিন্তু সেটা কতটুকু ঠিক তা নিয়েই সে এখন চিন্তা করতে। তার চিন্তার মাঝে ছেদ ঘটালো একটা ফোন। তার ভাইয়ের ডেস্কে রাখা ফোনটা বাজছে।
“হ্যালো….. জ্বী বলুন…..তাই নাকি!…..কোথা থেকে?…..আই সি…..আপনাদের জিম্মায় এখন?…..ওকে ওকে…..থ্যাংকস এ লট!”
ফোন রাখার পর ভাইয়ের মুখে হাসি দেখে সাদিক বুঝতে পারলো ঘটনা।
-“রবিন ধরা পড়েছে?”
-”ইয়েস!”
-”খুলনাতেই?”
-”ইয়েস। ইউ ওয়ের রাইট, আগেইন! তোর কথা শুনে খুলনার সব বাস কাউন্টার, ট্রেন স্টেশনে সাদা পোশাকের পুলিশ পাঠাতে বলেছিলাম। ওই পুলিশদেরই একজন ধরেছে রবিনকে।”
ঠিক তখনই রুমে প্রবেশ করলেন থানার ওসি এবং আরো কয়েকজন পুলিশ। ইন্সপেক্টর আজাদ সবার বসার ব্যবস্থা করলেন। তার পরেই একজন পুলিশের সাথে প্রবেশ করলো সজীব। আজকে তার চেহারা বেশ ফ্যাকাশে লাগছে। ভয়ে নাকি জ্বরেই বুঝা যাচ্ছে না।
সাদিককে শুরু করতে বললেন বললেন ওসি সাহেব। ইন্সপেক্টর আজাদ ওর কানে কানে বললো, “টেনশান করিস না। আল্লাহ ভরসা।” হ্যাঁ, সাদিক টেনশান করছে। যদিও আসার আগে ইস্তিখারার দুআ পরে নফল নামাজ পড়ে এসেছে, তবু সবার সামনে কথা বলতে গিয়ে বুক দুরুদুরু করেই কাঁপছে।
“সবাইকে ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য। আপনাদের সময় আর নষ্ট না করে মূল কথায় চলে যাই। আমাদের হাতে ছিল তিনটি কেস-
এক, ২১ জুন দুপুরে সুন্দরবনের করমজলে রনি নামের এক লোকের আচমকা মৃত্যু আর তার পরপরই লাশের রহস্যজনক অন্তর্ধান! অতঃপর ২২ জুন বিকালে বাঘে খাওয়া লাশ উদ্ধার।”
দুই, সেদিন রাতেই, কিংবা বলা চলে ২২ জুনের মধ্যরাতে রনির স্ত্রী তিথীর মৃত্যু। বেডরুমে ফ্যানের সাথে ঝুলানো অবস্থায় উদ্ধার হয় তার লাশ।
তিন, এটা বলতে গেলে বোনাস কেস! প্রথম দুই কেসের ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়ে ধরা পড়ে যে, ১৭ জুন দায়ের হওয়া একটি জালিয়াতির মামলায় ভিকটিম রনি জড়িত। জড়িত ছিল তার ভাই রবিন ও। কিন্তু তাদের আত্মসাৎ করা পাঁচ কোটি টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি।
এই গেল কেস গুলোর সামারী। এবার রহস্য উন্মোচন।”
সবাই নড়েচড়ে বসলো। সবার মনে একরাশ কৌতূহল।
“প্রথমেই আসি তিথীর কথায়। আপাত দৃষ্টিতে সুইসাইড মনে হলেও সত্যি কি তাই? তিথীর সাথে রনির সম্পর্ক খারাপ ছিল। তাতে করে তার মৃত্যুতে সুইসাইড কতটা যৌক্তিক? তিথীর গায়ে ছিল টর্চার এর সাইন। তবে সবচেয়ে বেশি সন্দেহজনক ছিল টাইপ করে ওয়ালপেপার হিসেবে সেট করে যাওয়া সুইসাইড নোট যেখানে লিখা ছিল সে তার ‘অত্যাচারী’ স্বামীর কাছে ফিরে যাচ্ছে! এখানে ধারনা করা যায় যে এটা হয়তো সুইসাইড না। কিন্তু খুনী কে? বাসায় তো সেদিন রাতে বয়স্ক শশুর ছাড়া কেউ ছিল না, ব্রেক ইনের আলামত নেই, না কোন ইনজুরির! খুনি বেশ চালাক। হাতের ছাপ রাখেনি, হয়তোবা ওড়না দিয়েই ফাঁস দেয়ায়। সুইসাইড নোট টাইপ করে গেছে, যাতে হাতের লেখা দিয়ে ধরা না পড়ে। আর সন্দেহ এড়াতে বাসায় ঢুকেছে সদর দরজা দিয়েই, স্পেয়ার চাবি ব্যবহার করে!
আমি নিজে গিয়ে দেখেছি, রনির বাড়িতে সদর দরজায় শুধুমাত্র লক এন্ড কি সিস্টেম। ভিতরে কোনো ছিটকিনি নেই। চাবি থাকে সাধারণত বাসার সদস্যদের কাছে। এই ক্ষেত্রে তাই প্রাইম সাস্পেক্ট রবিন। কিন্তু রবিনের কথা অনুযায়ী সেই ঘটনার সময়ে তার ঢাকায় থাকার কথা থাকলেও সে বাসে ছিল, যা নাকি পথে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি নিজে ওই পরিবহনের অফিসে খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি এই ক্ষেত্রে তার এলিবাই সত্যি।”
“তাহলে কে খুনি?” ওসি সাহেব থাকতে না পেরে প্রশ্ন করেই ফেললেন।
“বলছি। চাবি যে শুধু বাসার কারো কাছেই থাকে তা কিন্তু না। কেউ যদি সেই চাবি চুরি করে তাহলে তার কাছেও থাকে তাই না?” একথা বলে সাদিক সজীবের দিকে তাকালো।
সজীব চিৎকার করে বললো, “আমি কিছু চুরি করিনি!”
“আমি বলছি না আপনিই চুরি করেছেন। তবে আপনিও সন্দেহভাজন একজন। আপনার বাসায় গিয়ে জানতে পারি যে আপনি ২২ তারিখ থেকে ঠান্ডার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। আপনার রুমের মেঝেতে পাওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আপনি ২১ তারিখ রাতে খুলনার এক ডাক্তার দেখান শরীরে জ্বর নিয়ে। অর্থাৎ ওইদিন রাতে আপনার পক্ষে তিথীকে হত্যা করা সম্ভব না।”
সজীব হাফ ছেড়ে বাঁচলো। ওসি সাহেব আবারও থাকতে না পেরে বললেন, “তাহলে খুনি টা কে?”
“খুনি আর কেউ না” সাদিক এবার গলার স্বর আরো ভারী করে বললো, “তিথীর হাসবেন্ড- রনি।”
“কি!” রুমের সবার মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। সজীব আবার চিৎকার করে উঠলো, “ইম্পসিবল! আমি নিজে ওর পালস চেক করেছিলাম, কোন পালস ছিল না। হি ওয়াজ ডেড!”
“সেখানেই তো ভেলকিবাজি, সজীব সাহেব! আর ভেলকির মূলে রয়েছে একটা বল!”
সাদিক পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা বল বের করে দেখালো। “এরকম একটা বল আপনি যদি আপনার বগলে চাপ দিয়ে ধরে থাকেন তাহলে আপনার অন্য হাতের আর্টারীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে পালস নাই দেখাবে!” সবাই অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
“আপনার ফ্রেন্ড বড়ই ধূর্ত, সজীব সাহেব! একটা ছোট্ট ট্রিক কাজে লাগিয়ে সে আমাদের ধোকা দিয়ে লোপাট করা সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল! এটা কথা সত্য, তার প্ল্যানটা খুবই ভালো ছিলো। কিন্তু বউয়ের কাছে তার জালিয়াতির প্রমাণ ছিল বলে তাকে মেরে ঐরকম সুইসাইড নোট রেখে, আর নিজের বাবার রুমে ঢুকে বোকামি করেছে সে।”
“ও! তার মানে রনির বাবা ঠিকই দেখেছিল!” এবার কথা বললেন ইন্সপেক্টর আজাদ।
-“হ্যাঁ। তবে সেদিন রাতেই ঢাকা পৌঁছানোর ব্যাপারটা একটু অস্বাভাবিক ছিল। তাই আমার মনে আসে প্লেনের কথাটা। যশোর এয়ারপোর্টে খবর নিয়ে আজ সকালে জানা যায় সেদিন রনি প্লেনে করেই ঢাকায় ফিরেছিল।”
-“কিন্তু… কিন্তু রনির লাশ যে পরে পাওয়া গেলো সুন্দরবনে!”
-“হ্যাঁ। সেটার সাথে বোধ করি জড়িত আমাদের তৃতীয় কেসটা। রনি তিথীকে খুন করেই ফিরে যায় আবার সুন্দরবনে। কেন? কারণ সে হয়তো সেখানে কিছু ফেলে এসেছিল… কিংবা… বলা চলে লুকিয়ে এসেছিল!”
সবাই তন্ময় হয়ে শুনছে শুধু। অদ্ভুত এ রহস্যের সফর শেষই হচ্ছে না!
“লুট করা বিশাল অংকের টাকা তো সেভাবে বয়ে বেড়ানো সম্ভব না, তাই না? তাই রনি তা দিয়ে কোন মূল্যবান কিছু, হয়তো সোনার বার কিনে নিয়েছিল। সেগুলোই সুন্দরবনে গর্ত করে লুকিয়ে এসেছিল, নাহলে এয়ারপোর্টে ধরা পড়তে হত। কিন্তু সেই গুপ্তধন পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে রনিকে নির্মমভাবে খুন হতে হলো- বাঘেরই হাতে!”
সবাই এবার আশ্চর্যবোধক কোন শব্দ করতেও ভুলে গেল। রুম গম গম করছে কেবল সাদিকের কথাতেই।
“আমার মনে প্রথম সন্দেহ জেগেছিল একথা শুনে যে মৌয়ালরা বিকালে ফিরতি পথে লাশ দেখলো, তাও অর্ধেক খাওয়া! কেন যাওয়ার পথে দেখলো না? কারণ তখনো রনি মারা যায়নি। আর মৌয়ালদের দেখে বাঘ পালিয়ে গিয়েছিল বলে লাশ ছিল আধ খাওয়া।”
সাদিক একটু বিরতি দিয়ে বললো, “এখন, যদি আমার ধারণা ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে সেই পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের গুপ্তধন লুকানো আছে রনির লাশ যেখানে উদ্ধার করা হয়েছিল তার কাছাকাছি কোন গর্তে। রনির ভাই রবিন পুরো ব্যাপারটাই জানতো, ভাইয়ের সাথে নিজে পালানোরও প্লান ছিল হয়ত। তাই ভাইয়ের প্রথম মৃত্যুর সংবাদে সে শোকাহত ছিল না একটুও। তারপর ভাইয়ের আসল মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর সে গুপ্তধন নিজেই উদ্ধার করতে যায় এবং যাওয়ার পথেই আটক হয় খুলনা পুলিশের হাতে। ব্যস, এটুকুই ছিল আমার ঝুলিতে। ধৈর্য্য ধরে শুনবার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
সাদিকের কথা শেষ হওয়ার আগেই মুহুর্মুহু করতালিতে সবাই ফেটে পড়লো!
১১.
সেদিনের রহস্য উন্মোচন এর পর চার দিন পার হয়ে গেছে। আজ আবার থানায় এসেছে সাদিক। এবার এসেছে ওসি সাহেবের আমন্ত্রণে। তার কথা অনুযায়ী খোঁজ করে সুন্দরবনের গহীন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ছোট সেফ ডিপোজিট বক্স, নাম্বার লক সিস্টেম এর। সেটা না খুলেই একেবারে নিয়ে আসা হয়েছে এই থানায়। যেহেতু সাদিকের বুদ্ধিতে উদ্ধার হয়েছে, তাই তার সম্মানে তার সামনেই লক খোলা হবে।
অনেক চেষ্টার পর সেটা খোলা গেল। অতঃপর তার ভিতর থেকে বহুল কাঙ্ক্ষিত গুপ্তধন বের করে আনলেন ইন্সপেক্টর আজাদ সাহেব।
সাদিকের ধারণা এবার ভুল প্রমাণিত হলো।
ভিতর থেকে বের হল সোনার বার না, শয়ে শয়ে সোনার কয়েন!